বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন কবে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তা প্রমাণসহ জানাতে বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নেত্রী, একাধিকবারের প্রধানমন্ত্রী, একটি দলের এতদিনের চেয়ারপারসন; তার জন্মতারিখ কোনটি? এ প্রশ্নের জবাব চাইছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মতারিখের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তার মেট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্মতারিখ একটি, ম্যারেজ রেজ্রিস্টেশনে একটি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একটি, পাসপোর্টে আরেকটি। ৯৫ সালে হঠাৎ করে তার জন্ম তারিখ হলো ১৫ আগস্ট। ২৬ বছর ধরে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। সর্বশেষ করোনা টেস্টে জন্ম তারিখ দেখলাম ৮ মে ১৯৪৬।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব, এটি আপনি কীভাবে উড়িয়ে দিচ্ছেন? ফখরুল সাহেব বলেছেন, আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলেছি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে। এটি শিষ্টাচারবহির্ভূত কেন হবে? এটি তো হাওয়া থেকে পাওয়া কোনো তথ্য নয়। খালেদা জিয়ার জীবনী থেকে পাওয়া। একজন নেত্রী, যিনি আপনাদের চেয়ারপারসন, তার জন্মদিন যদি ছয়টি হয় এমন দলনেত্রী-দেশনেত্রীর প্রতি মানুষের কী কোনো আস্থা থাকে?
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে তিনি বলেন, এ ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস খুনিদের ছিল না। জিয়াউর রহমানই তাদের শক্তি-সাহস দিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া ডালিমকে বলেছিলেন, ‘ওয়েল ডান! ইউ হ্যাভ ডান অ্যা গ্রেট জব।’ সে ইতিহাস বড় বেদনার ইতিহাস।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।
